বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: সংসারে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে এনে মা,বাবা আর ভাই বোনের মুখে হাসি ফুটাতে চোখে স্বপ্ন নিয়ে দালালের মাধ্যমে সৌদি আরবে যান ফারহানা আক্তার (15) নামের এক কিশোরী। কিন্ত সে জানতো না সেই স্বপ্ন তার জীবনে দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠবে।
রোববার এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরএলাকায়।
এবিষয়ে শনিবার বিকেলে জগন্নাথপুর থানায় মেয়ের মা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, জগন্নাথপুর পৌরসভার আওতাধীন বাড়ি জগন্নাথপুর এলাকার বাসিন্দা জগলু মিয়ার কিশোরী মেয়ে ফারহানা বেগম (১৫)কে একই এলাকার তারিফ উল্লার ছেলে স্থানীয় দালাল লিলু মিয়ার প্ররোচণায় চলতি বছরের ১০ মার্চ সৌদি আরবে পাঠানো হয়। সেখানে সৌদির রিয়াদে রিয়ারসেমি এলাকায় কিশোরীকে একটি কক্ষে আটকে রেখে খারাপ কাজসহ অমানবিক নির্যাতন করা হচ্ছে। তাকে তার দেশে থাকা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
গত ১৫ দিন আগে সৌদি থেকে নির্যাতনের শিকার মেয়েটি মোবাইল ফোনে তার মাকে জানায়, সে খুবই বিপদে আছে, তাকে কোন ধরনের বেতন ভাতা দেওয়া হয় না। তাকে যেন দালালের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়, বলে মেয়েটি কান্নায় ভেঙে পড়ে। এসময় তার ফোনের লাইন কেটে যায়। এঘটনার পর মেয়ের মা গত ২ ডিসেম্বর লিলু মিয়াকে বিষয়টি জানিয়ে মেয়েকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য বলেন। তখন দালাল লিলু মিয়া উত্তেজিত হয়ে মেয়ের মাকে বলে, তোমার মেয়েকে বিদেশ পাঠাতে আমার ২৫ হাজার টাকা খরছ হয়েছে, এই টাকা আমাকে না দিলে মেয়েকে আর তুমি পাবে না। বিদেশে তাকে আরো বেশি নির্যাতন করা হবে। অবশেষে নিরূপায় হয়ে মেয়ের মা জগন্নাথপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মেয়ের মা রাজিয়া বেগম বলেন, স্থানীয় দালালের ফাঁদে পড়ে আমার মেয়ে সৌদিতে যায়। আমার মেয়ে একদিন মুঠোফোনে আমাকে কল দিয়ে বলে, তার ওপর অমানবিক নির্যাতন করা হচ্ছে। তাকে যেন দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য, বলেই সে কাঁদতে কাঁদতে ফোন কেটে দেয়। তিনি কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার মেয়ের জীবন এখন বিপন্ন। মেয়ের চিন্তায় চোখে ঘুম নেই। আমার মেয়েকে ফিরে পেতে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহায্য চাই।
অভিযুক্ত লিলু মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্ঠা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
রোববার জগন্নাথপুর থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর সাথে আলাপ হলে তিনি জানান, অভিযোগের আলোকে আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
Leave a Reply